বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায় : সেতুমন্ত্রী 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাপানিদের হাতে সেতু নির্মাণে ১১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। তবে চুরি চামারিও আছে, এটা অভ্যাস, চলতেই থাকবে। এদের কত টাকা দরকার, কত অর্থ, কত সম্পদের দরকার। রাস্তা করি, বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায়। এ টাকা সরকারের টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। সচিব সাহেব, এই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিবাজ থাকবে না, দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করুক। যেখানে দুর্নীতি হয়, সেখানে তদন্ত করতে হবে’।

আজ (২২ অক্টোবর) শনিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকারী সভাপতি শাহজাহান খান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ও নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচার সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।

নিজে কোনো পার্সেন্টেজ নেননি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার মতো সৎ নেতা চাই। তার মতো সততা, ভালো মানুষ পঁচাত্তরের পরে একজনও আসেনি। কয়জন জনপ্রতিনিধি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন, কয়জন পকেটের উন্নয়ন করেন সে হিসাব দিতে হবে। শেখ হাসিনা নিজে সৎ থাকবেন অন্য পকেটের উন্নয়ন করবে সেটা হবে না। এতো বছরেও আইন (সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮) বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, গতবারের প্রত্যাশা ছিল দুর্ঘটনা, যানজট ও মোটরসাইকেলের উপদ্রব কমানোর। এই ঢাকা শহরে এখন আর হেলমেট ছাড়া কোনো যাত্রী দেখি না, রাস্তায় যারা হেলমেট ছাড়া চলে তারা পলিটিক্সের লোক। পলিটিক্স ঠিক না হলে কিছু ঠিক হবে না। মানুষের অসুবিধা করে রং সাইডে যাবেন, আপনি কী নেতা, কেমন রাজনীতিবিদ? আপনাদের দিয়ে জনগণের কী কাজে আসবে? শৃঙ্খলা না থাকলে সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হবে। আগের সচিবকেও বলেছি, এদেরকে নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। নীতিমালা করলে হবে না, নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক খারাপ হতে চলেছে। আগামী বছর মাপবো, এবারের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি কতটুকু হলো। সবাইকে অন্তত একটি দায়িত্ব পালন করতে হবে।